ক্যান্ডিতে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ভুলে যাওয়ার মত একটি দিন পার করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিশাল লক্ষ্যের বিপরীতে লঙ্কানরাও দাঁড় করাচ্ছে রানের পাহাড়। চতুর্থ দিনে একটি উইকেটেরও পতন ঘটাতে পারেনি টাইগাররা।তাই তো টেস্ট ম্যাচের উইকেট এমন হওয়া উচিত নয় বলে জানালেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিন বলেছেন বোলারদের জন্য পাল্লেকেলের পিচে কিছুই নেই। এরকম উইকেটে বোলিং করাটা কষ্টকর । তবে, সব সময় ভালো উইকেট পাওয়া যাবে না, এটাই বাস্তবতা; সেটাকে মাথায় রেখে নিজেদের কাজটা করে যাওয়ার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিচ্ছেন তিনি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় ৪ দিন শেষে ক্যান্ডিতে দুই দলের রান উঠেছে ১০৬০। উইকেট মাত্রা ১০টা। যেখানে লঙ্কান পেসারদের দখলে গেছে ৬টি, আর স্পিনারের একটি। অন্যদিকে বাংলাদেশের স্পিনাররা নিয়েছেন ২টি আর পেসারদের শিকার একটি।
টেস্ট ম্যাচে এমন ব্যাটিং বান্ধব উইকেট দেখে বেশ অবাক হয়েছেন বাংলাদেশের গতি তারকা তাসকিন আহমেদ। দুই দিনে ২৫ ওভার বল করেও, খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে না পারার হতাশা পোড়াচ্ছে তাকে।
তিনি বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে এমন পিচে বল করা কঠিন। এই উইকেটে চান্স ক্রিয়েট করার অপশন নেই। ভালো বলও সহজভাবে খেলে যাচ্ছে।
চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে দুই দফা আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। দিনের ২২ ওভারের মতো বাকি থাকতেই চতুর্থ দিনের খেলা শেষ। ৩ উইকেটে ২২৯ রানে দিন শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিন শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৩ উইকেটে ৫১২। সারাদিনে রান উঠেছে ২৮৩। বিনিময়ে কোন উইকেট খরচ করতে হয়নি লঙ্কানদের।
পাল্লেকেলের উইকেট যে ব্যাটিং সহায়ক, সেটা চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। প্রথম দুই দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পর লঙ্কান অধিনায়ক এবার তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। ইনিংসের প্রথম বল থেকে শুরু এখন অবধি অপরাজিত আছেন তিনি। ৪১৯ বল মোকাবিলায় করেছেন ২৩৪ রান। তার সঙ্গে আছেন দিমুথ করুণারত্নে। তার সংগ্রহ ১৫৪ রান।
১৯০ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর জুটি গড়েছিলেন এই দুজন। ৩২২ রান তোলার পরও অবিচ্ছিন্ন আছেন তারা।
তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে তাইজুলের ঘূর্ণিতে শেষ সাফল্য দেখেছিল বোলাররা। এরপর চতুর্থ দিন উইকেটের জন্য হাপিত্যেশ করতে করতে কেটেছে বাংলাদেশি বোলারদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে)
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৫৪১/৭ (১৭৩ ওভার, ইনিংস ঘোষণা)
শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭, তামিম ৯০, মুশফিক ৬৮*, লিটন ৫০;
বিশ্ব ৯৬/২, কুমারা ১৩০/১
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস : ৫১২/৩ (১৪৯ ওভার)
করুনারত্নে ২৩৪*, ধনঞ্জয়া ১৫৪*, থিরিমান্নে ৫৮, ম্যাথিউস ২৫, ফার্নান্দো ২০
তাসকিন ৯১/১, মিরাজ ১২৩/১ তাইজুল ১৩৬/১
শ্রীলঙ্কা ২৯ রানে পিছিয়ে।